ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি কাদা হওয়ায় এই অঞ্চলে স্থানীয় জাতের পেঁয়াজের ফলন উঠতে ৪-৫ দিন বিলম্ব হবে।’
তবে কিছু দিনের মধ্যেই চাষিরা পেঁয়াজ তুলতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও কোনো কোনো কৃষক ইতোমধ্যে ভেজা মাটি থেকেই পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু করেছেন।’
পেঁয়াজ চাষি সুবিদ মোল্লা ইউএনবিকে বলেন, এই মুহুর্তে তার মাঠ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহের কথা ছিল তবে বৃষ্টিপাতের কারণে দেরি হয়েছে। ‘পেঁয়াজ তোলার জন্য আমাকে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে’।
এদিকে ফসল কাটাতে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার রাজধানীসহ দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১৪০-১৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রবিবার আকাশে সূর্য দেখা দেয়ার পর তা প্রতি কেজি আবার ১১০-১২০ টাকায় নেমেছে।
রবিবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা প্রতি কেজি বাল্ব (পেঁয়াজের একটি জাত) ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হাজী শরিতুল্লাহ বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহা বলেন, রবিবার পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। ‘আমি সকালে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
‘অসময়ে বৃষ্টির পর কৃষকরা বাজারে অল্প করে পেঁয়াজ আনতে শুরু করেছেন‘, যোগ করেন তিনি।
পেঁয়াজ ক্রেতা মো. জসিম মোল্লা জানান, তিনি দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন। তবে দাম বেশির কারণে আধা কেজি কিনেছি।