পাশাপাশি ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ধারণক্ষমতা ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ জন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হয়েছে। নিরাপদ আলো ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।