শনিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ইভিএম ভোটকেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে ইসি। কমিশন যদি সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তাহলে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে মোতায়েন করা হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বক্সের বদলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেসব কেন্দ্রের সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেনাবাহিনী।
ইসি সচিব জানান, রাজনৈতিক জোটগুলো যদি একক নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চায় তাহলে তাদের প্রতীকের বিষয়ে রবিবারের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে।
‘তা না হলে কোনো দল (আনুষ্ঠানিকভাবে) জোটের সঙ্গী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। প্রতিটি দলকে তাদের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে,’ যোগ করেন হেলালুদ্দীন।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া (৩০ নভেম্বর) না পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না।
রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে তারা সমাবেশের অনুমতি নিয়েছিল। তাই এবিষয়ে কোনো সমস্যা নেই।
নির্বাচনী তফসিল পেছানোর যে দাবি বিএনপি করেছে তা নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এটি পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সব দল যদি এবিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছায় তাহলে ইসি তা বিবেচনা করতে পারে বলে জানান তিনি।