বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন - চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
প্রায় ৫০ মিনিটের বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাতের সময় সিইসি একাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।
সিইসি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার প্রস্তুতি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে ইসিকে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
আবদুল হামিদ আরও বলেন, প্রযুক্তির ব্যাপকতার ফলে এর অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই নির্বাচনে প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে ইসিকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হওয়ার পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা ধরে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয় ইসি সচিবালয়ে।
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের পর রবিবার বৈঠকে বসবে কমিশন। ওই বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে। পরে তা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ঘোষণা করবেন সিইসি নুরুল হুদা।