সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অধিক বিনিময় চাই।’ সেই সাথে তিনি জানান যে তারা বৃহত্তর সহযোগিতার ক্ষেত্রে তারা ঘনিষ্ঠ নজর দিতে চান।
রাজধানীর জার্মান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দেশে অনেক মেধাবী রয়েছে এবং শিক্ষার মানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
‘আরও সম্পদ বিনিয়োগ করা দরকার। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে...আপনাদের সু-প্রশিক্ষিত ও সু-দক্ষ লোকজনের দরকার হবে,’ বলেন রাষ্ট্রদূত পিটার।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে তৃতীয় জনপ্রিয় দেশ জার্মানি। দেশটির মোট শিক্ষার্থীর ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশই বিদেশি। জার্মানিতে ২০১৮ সালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ২২০ জন।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন যে তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বর্তমান সংখ্যা নিয়ে খুশি নন। ‘এ সংখ্যা আমরা বাড়াতে চাই।’
বাংলাদেশে ক্যাম্পাস চালুর বিষয়ে জার্মান সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্ভব কিন্তু এ মুহূর্তে নয়। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নয়াদিল্লির ডিএএডি (জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস) আঞ্চলিক কার্যালয় ঢাকার ডিএএডি তথ্যকেন্দ্রর সাথে মিলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-জার্মান সহযোগিতা প্রসারের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএএডির আঞ্চলিক পরিচালক কাটজা ল্যাশ বলেন, তারা স্বল্প খরচে চমৎকার শিক্ষা সরবরাহ করেন। ‘দুদেশের মধ্যে অনেক সহযোগিতা চলছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো কোটা নেই তবে তারা সেরা শিক্ষার্থীদের খুঁজে আছেন এবং তারা মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চালিয়ে যাবেন।
ডিএএডি ইয়ং অ্যাম্বাসেডর খন্দকার মোজাদ্দিদ হায়দার, ডিএএডি অ্যালামনাই মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও ড. মারুফা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানিয়ে উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা কোনো বাধা নয়।
রাষ্ট্রদূত পিটার জানান, তারা ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘এগুলো সহজ, নির্বিঘ্ন ও দ্রুততর হবে। আমরা চাই না লোকজন অপেক্ষা করুক।’