তিনি বলেন, ‘আমেরিকা বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। দেশের যেকোনো দুর্যোগে আমেরিকা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারের কোভিড মোকাবিলা করতেও আমেরিকা বাংলাদেশের নানা খাতে সার্বিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভেন্টিলেটর মেশিন ও গ্যাস এনালাইজার মেশিন হস্তান্তর সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে করোনা সংকট মোকাবিলায় উভয় দেশের বাস্তব অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাকালীন বাংলাদেশের নানা উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে করোনা মোকাবিলায় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তা উল্লেখ করেন।
আমেরিকার প্রতিনিধিরা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে আগামীতে টিকা উৎপাদন শুরু হলে আমেরিকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস এবং বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুত টিকা পেতে আমেরিকা সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানান মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান।
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট দুটি উন্নত গ্যাস এনালাইজার মেশিন হস্তান্তর করেন স্টিফেন ই বিগান ও আর্ল আর মিলার।