মঙ্গলবার ওই বিশেষ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
শনিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘ফ্লাইটটির ব্যাপারে এখনও অনুমোদন বা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমরা ২১ এপ্রিল মঙ্গলবারে ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং পরের দিন ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রো অঞ্চলের ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদী।’
বিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সোমবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস কয়েক শ আমেরিকান নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।
৩০ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল ফ্লাইটের পরে এটি ছিল তৃতীয় প্রত্যাবাসন ফ্লাইট।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরত যাওয়া যাত্রীদের সাথে এ সময় কথা বলেছিলেন।
কাতার এয়ারওয়েজের তৃতীয় চার্টার্ড ফ্লাইটটির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সদস্য, বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এবং দূতাবাসের বেশকিছু কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সরকার একত্রে কাজ করেছে।
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশি বন্ধু ও অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের সবাইকে রক্ষা করার জন্য সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের ১০৭টি দেশ থেকে ৫৯ হাজার ৪০০ আমেরিকান নিজ দেশে ফিরেছেন।