নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭৪টি ল্যাবে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৭৩টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০টি।
এখন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫১ জনে। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৭৮ হাজার ১০২ জন।
পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২.৯৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৪৬.৩১ শতাংশ এবং আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।
নতুন যে ৫৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৬ এবং নারী ৯ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২৫৯ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৭ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ ২৮ হাজার ২৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ হাজার ৪৮৭ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ এবং মারা গেছেন ১৯ হাজার ৬৯৩ জন। গত রবিবার এক দিনে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৯১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে, চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫২ জনে পৌঁছেছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।