দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৩৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ, যা গত ৫০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ১৪ শতাংশ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল।
শনবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৬ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া একদিনে আরও ৩৯ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ৭১ জনে দাঁড়ালো।
এর আগে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে ৪৩ জন মারা গেছেন এবং ২ হাজার ৪৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯০টি।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১০৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল
বিশ্ব পরিস্থিতি
এদিকে, করোনা টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই সাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।
ইতোমধ্যেই বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫১ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৫০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৯২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ১১০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৫ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ৮২৩ জন এবং শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৩৫ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৬ হাজার ১১৮ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৫১ লাখ ছাড়ালো
করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৭৭ টি।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৮৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।