সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমানের বাবা এরফান আলী, মা সাজেনুর বেগম, ভাই সাইদুর রহমান ও প্রতিবেশী ফেরদৌসি বেগম।
রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান ও মামলার অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে গৃহবধূ সালমার জবানবন্দী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্ত স্বামী মিজানুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ও ২০০৩ এর ১১ এর (ক) ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
মামলার বাদী ও নিহত সালমার ভাই নুরুজ্জামান বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। এতে আমার বোনের আত্মা শান্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে সালমা আক্তারকে (২১) দগ্ধ করে মিজানুর রহমান। দীর্ঘ ৫ মাস খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে চিকিৎসা শেষে ২০১৫ সালের ২৯ মে রাতে খাগড়াছড়ির গুইমারার পৈত্রিক বাড়িতে মারা যান তিনি।