মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত 'জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯'এ একজন কলার ফোন করে জানান, ঢাকার মুগদায় বড় মসজিদের পাশে একটি বাসায় অবস্থানরত তার বোন পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ এবং বিষ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। কলার আরও জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন এবং তার বোন অচেতন হওয়ার পূর্বে ফোনে কথা হয়েছিল কিন্তু এখন তার ফোন কল রিসিভ করছেন না। তিনি জরুরি পুলিশি সহায়তার এবং তার বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ করেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সাথে মুগদা থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে মুগদা থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
পরে ভোর সাড়ে ৩টায় মুগদা থানার ডিউটি অফিসার এস আই মিনহাজুল হক আকিল ৯৯৯ কে ফোনে জানান, মুগদা থানার এস আই জাহাঙ্গীর আত্মহত্যা প্রচেষ্টাকারী তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান, পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীদের সহায়তায় দ্রুততার সাথে তরুণীর পাকস্থলী পরিষ্কার করা হয়। এরপর তরুণীকে নিয়ে তারা তার পরিবারের কাছে দিয়ে আসেন। তরুণী বর্তমানে আশংকামুক্ত।
পরে ৯৯৯ থেকে তরুণীর ভাইকে ফোন করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং এরকম জরুরি বিপদের মুহূর্তে সহায়তা করার জন্য ৯৯৯ কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।