পরে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার কাজীর পাড়ায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সন্দ্বীপের মুছাপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মো. সোহাগ (৩৪), সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সলিমপুর ফকিরহাট কাজীপাড়ার শফিউল আলমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩১), একই এলাকার ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৬) ও কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ছোট তুলাগাঁও গ্রামের নুরুল হকের ছেলে রবিউল হাসান জুয়েল (২২)।
পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। অভিযানে ডাকাতদের কাছ থেকে পুলিশ বিদেশি রকেট লাঞ্চার, বিদেশি একনালা বন্দুক, বিদেশি টু টু বোর রাইফেল, দেশীয় তৈরি এলজি, ৮টি রকেট লাঞ্চার সেল, ১৪টি কার্তুজ, কাটার, হাতুড়ি, ৬টি কোরাবারি, দুইটি লোহার সাবল, লোহার রড ৫টিসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হামলায় ওসি দেলোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) জাব্বারুল ইসলাম, এসআই মো. সুজায়েত হোসেন, এসআই হারুনুর রশিদ, এএসআই শহিদুল্লাহসহ নয়জন আহত হন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদে মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক শ্রী সুমন বনিক বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী সাহাকে জানালে ওসি দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান। এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ডাকাতদল পিছু হটলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় চুরি, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মসিউদ্দৌলা রেজা, ফৌজদার হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম।