রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কমিশনের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি সাধারণ নির্বাচনের তফসিল এ সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে, নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, ‘এখনো, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। সেই সাথে এ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতিও আছে আমাদের।’
চলমান রাজনৈতিক সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে চিঠি দিয়েছে তা পাননি জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘এটি অফিসে (ইসি) পৌঁছেছে কিনা জানি না। সচিব হিসেবে আমি এবিষয়ে অবগত নই এবং কমিশনও অবগত নয়। সুতরাং এটি নিয়ে (বৈঠকে ) আলোচনা হয়নি।’
চিঠিটি পৌঁছে থাকলে কমিশনের রবিবারের বৈঠকে তা উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে এই চিঠি পাঠান।
বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে সম্প্রতি আদালত যে রায় দিয়েছে সে সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য বিষয়টি কমিশনের বৈঠতে তোলা হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কমিশন এক মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নং অনুচ্ছেদের সংশোধনী গ্রহণ না করতে গত ৩১ অক্টোবর ইসিকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সাথে ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে আদেশ দেয়া হয়।
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ৭ নং ধারা বাদ দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা ছিল, দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তি বিএনপির নেতা বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।