বুধবার দুপুরে ঢাকার কাওরান বাজার থেকে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত 'জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯' এ একজন কলার ফোন করে জানান, কাওরান বাজারে রাস্তার পাশে এক যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তিনি জরুরি পুলিশী সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সাথে তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা থেকে একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
পরে তেজগাঁও থানার এসআই গফুর ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাস্তার পাশে অজ্ঞান হওয়া যুবককে উদ্ধার করেন। তিনি আশপাশের লোকজনের সহায়তায় যুবকটির মাথায় পানি ঢালেন এবং শুশ্রুষা করেন। এক পর্যায়ে যুবকের জ্ঞান ফিরে আসে। তখন যুবকের কাছে থেকে ফোন নম্বর নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থানরত তার পিতাকে খবর দেয়া হয়। যুবকের কাছে থেকে জানা যায় তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনাকালীন পরিস্থিতে তার প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে ছাঁটাই করা হয়। একারণে তিনি অর্থ কষ্টে ভুগছিলেন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। অবসাদ কাটাতে তিনি কয়েকটি ঘুমের ওষুধ সেবন করে চাকরির খোঁজে বের হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ বিষয়টি তার পরিবার জানতেন এবং সেদিন তার পিতা তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য পটুয়াখালী থেকে কেরানীগঞ্জে আসেন।
এরপর যুবকের পিতা থানায় আসলে যুবককে তার পিতার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের কাছে পটুয়াখালী যাওয়ার মতো টাকা ছিল না। পরে পুলিশের দলটি সবাই মিলে এক হাজার টাকা তাদেরকে পথ খরচ হিসেবে দেয়।