নিহত তামান্না খাতুন (২১) কালিগঞ্জ উপজেলার কলিযোগা গ্রামের সেলিম গাজীর মেয়ে।
এ ঘটনায় ওই প্রাইভেট চেম্বারের চিকিৎসক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কাজী আরিফ আহমেদ’র সহকারী আবু সাইদকে আটক করেছে পুলিশ। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আটক আবু সাঈদ নিহত তামান্না খাতুনের প্রেমিক। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ দাশ জানান, নাহার ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট চেম্বার ও একই স্থানে পরিবার নিয়ে থাকেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কাজী আরিফ আহমেদ। আবু সাইদ চিকিৎসকের সহকারীর (রোগিদের সিরিয়াল দেয়ার) কাজ করতো।
মঙ্গলবার ওই চিকিৎসক স্বপরিবারে ঢাকায় যান। তিনি ঢাকায় গেলে আবু সাইদকে তার বাসার দেখাশুনার দায়িত্ব দেন।
এদিকে মঙ্গলবার তামান্না বিয়ের দাবিতে আবু সাঈদের কাছে ওই চিকিৎসকের চেম্বারের আসে। কিন্তু সাঈদ তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় রাতে সে ডাক্তারের চেম্বারে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক আবু সাঈদকে আটক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. কাজী আরিফ আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় আছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না ।