আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত মঙ্গলবার জাবি ছাত্রলীগের সম্পাদক আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেছি।’
‘আমি পদত্যাগপত্র পড়ে দেখিনি। ব্যক্তিগত কারণে চঞ্চল পদত্যাগ করতে পারেন,’ বলেন তিনি।
জানা যায়, গত আগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়। ওই অভিযোগে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার কথা জানা যায়। আন্দোলন শুরু হলে কয়েকদিনের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে নিজ এলাকায় (দিনাজপুর) চলে যান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল। তখন থেকেই তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন।
জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। কেন্দ্র থেকে আমাকে জানানো হয়নি।’
এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থেকে বিব্রত হয়েছেন। ঈদ সেলামির বিপুল পরিমাণ টাকা ভাগাভাগি করতে গিয়ে তার নিজ গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্বের জেরে তাকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জুয়েল রানাকে সভাপতি ও এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হলেও এখনো নতুন কমিটি দেয়া হয়নি। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে জাবি ছাত্রলীগ।