বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মাহমুদুল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় মঙ্গলবার তার মামা মিজানকেও কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে গত ২৪ জুন মামলাটি (মামলা নম্বর ১) দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগনে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান। পরেরদিনই মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল খবর প্রচার করে যে, দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্তি পেতে ডিআইজি মিজান দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ডিআইজি মিজানকে প্রত্যাহার করা হয়।
মিজান ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি ওই নারীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেন এবং তিন সপ্তাহ ওই নারী কারাগারে বন্দী ছিলেন।