তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ওয়ার্ডে যে ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য থাকবে, সংগ্রহকারীরা এখন সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাসা-বাড়ি-গৃহস্থালী থেকে তা সংগ্রহ করবে। রাত ১০টার মধ্যে সকল বর্জ্য এই অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) চলে আসবে এবং রাত ১০টা থেকে এসব এসটিএস থেকে ময়লা-আবর্জনা আমরা মাতুয়াইলের ভাগাড়ে নিয়ে যাব। সুতরাং রাস্তায় ও উন্মুক্ত স্থানে আমরা আর কোনো ময়লা বরদাশত করব না, রাস্তায়-উন্মুক্ত স্থানে কোন বর্জ্য থাকবে না।’
সকালে নগরীর ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইসলামাবাদে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এরই মাঝে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছি। এখন থেকে যে ওয়ার্ডগুলোতে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নেই সেই ওয়ার্ডগুলোতেও আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করব। আজ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা এসটিএস নির্মাণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। ডিএসসিসির ৭৫ টা ওয়ার্ডে আমরা একটি করে এসটিএস নির্মাণ করব।’
এসময় মেয়র তাপস আরও জানান যে, রাত ৯টা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তাঘাট ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করবে, পানি ছিটিয়ে দেবে এবং ভোর ৬টা থেকে ঢাকা শহর হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
পরে ডিএসসিসি মেয়র মালিবাগে (১২ নম্বর ওয়ার্ড) নির্মিতব্য এসটিএস পরিদর্শন করেন এবং নগর ভবন সংলগ্ন সামনের রাস্তা, বঙ্গবাজার, আনন্দবাজার এবং নগর ভবনের পেছনে ফুলবাড়িয়া বাস স্টপ-ওভার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ও বিদ্যমান সমস্যা ও সংকট চিহ্নিত করে এই রাস্তাগুলোকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।