২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আবেদন জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্তর্নিহিত উপাদান ও সংবিধানে থাকা মুক্তচিন্তা ও বাক স্বাধীনতার প্রতি ব্যাপকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ধারাগুলো অন্তর্ভুক্ত রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হওয়ায় অনুষ্ঠানে পুনরায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি।
সংস্থাটি নতুন আইনটিকে কালো আইন হিসেবে উল্লেখ করে এর বিতর্কিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ধারাগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানায়।
মানববন্ধনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার রূপান্তর হিসেবে সম্প্রতি সংসদে অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অত্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আইনটি শুধু বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাতেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না, গণমাধ্যমকর্মীসহ সরকারের নানা কার্যক্রম সম্পর্কে গবেষণা করা বেসরকারি সংস্থার ব্যক্তিদের জন্যও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় নতুন করে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত পশ্চাদমুখী উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, সাংবাদিক বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য বড় ধরনের হুমকি ও নিরাপত্তহীনতা সৃষ্টি হবে এ আইনটির ফলে।
তিনি আরো বলেন, আইনটি দেশে গণতন্ত্র বিকাশের পথে বিরাট প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে সব নাগরিকের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বোধ সৃষ্টি করবে।
আইনটিকে স্বল্প মেয়াদে সরকারের জন্য উপযোগী বিবেচনা করা হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ও চূড়ান্ত বিবেচনায় তা আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তার মতে, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সে ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে।
মানববন্ধনে টিআইবি কর্মীরা ছাড়াও সংস্থাটির অনুপ্রেরণায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা অংশ নেন।