মইনুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
শুনানি শেষে পুলিশের প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি।
মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯ ধারায় দায়ের করা হয়।
অভিযোগের শুনানি শেষে আদালত গুলশান থানায় মামলাটি এফআইআর হিসেবে তালিকাভুক্ত করার আদেশ দেন।
গত ২২ অক্টোবর রংপুরে দায়ের করা মানহানি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি সরাসরি টক শো অনুষ্ঠান চলাকালে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সাথে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।