আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে ডিএনসিসিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী জিএম কামরুল ইসলামের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডিএনসিসির রিটার্নিং অফিসার আবুল কাশেম আগারগাঁও এলাকার স্থানীয় সরকার মিলনায়তনে মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়ালসহ ছয় মেয়র প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করলেও কামরুল ইসলামকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
এদিকে ডিএসসিসির রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন নগরীর গোপীবাগ এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেনসহ সাত মেয়র প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী- প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ জানুয়ারি।
বুধবার মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন দুই সিটি নির্বাচনে লড়তে ১৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পাশাপাশি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে লড়তে এক হাজারেরও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।
ডিএসসিসিতে সাত বৈধ মেয়র প্রার্থী হলেন- শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ), ইশরাক হোসেন (বিএনপি), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মাওলানা আবদুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন), বাহরনে সুলতান বাহার (এনপিপি), আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং আবদুস সামাদ সুজন (গণফ্রন্ট)।
ডিএনসিসির বৈধ ছয় মেয়র প্রার্থী হলেন- আতিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), তাবিথ আউয়াল (বিএনপি), আহমদ সাজেদুল হক (সিপিবি), শাহিন খান (পিডিপি), ফজলে বারী মাসুদ (ইসলামী আন্দোলন) এবং আনিসুর রহমান দেওয়ান (এনপিপি)।
পুরো নির্বাচন ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এবং ইভিএমের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দুজন সেনা সদস্য থাকবেন।
দুই সিটি নির্বাচনে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। উত্তরে ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন এবং দক্ষিণে ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন ভোটার রয়েছেন।
ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৪৯টি এবং ডিএসসিসির ৭৫ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২৪টি। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল দুই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।