বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
এসময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশন ২০১৭ সাল থেকে দুর্নীতির জনশ্রুতি রয়েছে এমন ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ/অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সফলতা ও সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা, সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও দুর্নীতির কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিমের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, এসব টিম অনুসন্ধান চালিয়ে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে। তিতাস গ্যাস সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম তাদের অনুসন্ধানকালে তিতাস গ্যাস কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং এসব বিষয়ে যারা সম্যক ধারণা রাখেন তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহপূর্বক তা পর্যালোচনা করে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক টিম তাদের অনুসন্ধানকালে তিতাস গ্যাস কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসহ ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা ও অডিট প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করে।
সার্বিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক টিম তিতাস গ্যাস কোম্পানির দুর্নীতি বিষয়ে ১২ দফা সুপারিশ সম্বলিত অনুসন্ধানী ও পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, দুদকের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। দুদকের প্রতিবেদন বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।