দুদকের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দার মাধ্যমে অবহিত হয়েছে, কতিপয় ব্যক্তি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।
দুদক জানায়, কমিশনের প্রতিটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। কোনো অবস্থাতেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির ন্যূনতম সু্যোগ দেয়া হবে না বলে কমিশন হুশিয়ারি দিয়েছে।
কমিশন আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এ জাতীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন, তাহলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা আনা হবে।
এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদকের সকল বিভাগীয় কার্যালয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়সমূহকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক যেকোনো কর্মসূচিতে দুর্নীতির মতো অপরাধ প্রশ্রয় দেবে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনু্যায়ী অনুপার্জিত আয় ভোগ করার কোনো সুযোগ নেই। দুদক কাউকে অনুপার্জিত আয় ভোগ করার সুযোগ দেবে না।’