বাগেরহাটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে প্রতিদিন ১২ হাজারে বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এপর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭০ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাত লাখ ১০ হাজার ৬০৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ হাজার ৮৮২ জনকে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শতভাগ শিক্ষার্থী অর্থাৎ, এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮২ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ফকিরহাট উপজেলাকে শতভাগ করোনা টিকা গ্রহণকারী উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
তবে, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আট জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। এপর্যন্ত বাগেরহাটে মোট সাত হাজার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত মারা গেছে ১৪৪ জন।
এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে অর্থদণ্ড পর্যন্ত করা হলেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাট জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৬ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এজন্য জেলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক দশমিক এক শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফকিরহাটে শতভাগ মানুষকে টিকাদান