এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৯১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ১২৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ হাজার ৭১২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ১২ হাজার ৫৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.৮৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.৩১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪৪ এবং নারী ছয়জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন। সুস্থতার হার ৫৭.৩১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি:
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নিশ্চিত সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখ ৯ হাজার ৯০১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৫ জন।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে কোভিড-১৯ মহামরি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নেই এবং হয়ত কখনও তা পাওয়া যাবেও না।
জেনেভায় নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন এখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে এবং আমরা সবাই আশা করি যে তার মধ্যেই কিছু কার্যকর ভ্যাকসিন আছে যা মানুষকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।’
তবে, এ মুহূর্তে কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নেই এবং তা হয়ত কখনও পাওয়া যাবেও না, বলেন টেড্রোস।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ও সরকারকে দেয়া প্রতিটি বার্তা স্পষ্ট। এগুলো অনুসরণ করুন এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা মেনে চলুন।’