তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ বহুগুণ এগিয়ে গেছে। কেটে যাওয়া হাত জোড়া লাগানোর মতো জটিল একটি কাজও দেশের চিকিৎসকরা করতে পেরেছেন। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা বাস দুর্ঘটনায় থেতলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতও যে জোড়া লাগাতে পারেন তা দেখিয়ে দিলেন। এটি গোটা চিকিৎসা ক্ষেত্রেই এক বিরাট সফলতা। এ সফলতা আমাদের সবাইকে গৌরবান্বিত করেছে।’
রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের বাস দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত জোড়া লাগানোর সফল চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা ফাহিমা বেগমের হাত সফলভাবে জোড়া লাগিয়েছেন এবং এখন হাতে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে ও তিনি ভালো আছেন।
এ সময় করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য খাত সফল ছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাতেও স্বাস্থ্য খাত সফল হবে। ইতোমধ্যে চিকিৎসারত তিনজন করোনা রোগীর দুজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। যে কোনো সময়ই তারা ঘরে ফিরে যেতে পারবেন। করোনা নিয়ে এখন জনসচেতনতাই বেশি প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ অন্য চিকিৎসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।