সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশগুলো হস্তান্তরের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জ জেলার কাঠপট্টি থেকে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের উপসহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শাজাহান শিকদার জানান, বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে লঞ্চটি শনাক্তের পর লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটের দিকে মনিং বার্ড ফরাশগঞ্জ ঘাটে ভেড়ার সময় বেগার দিতে গিয়ে ময়ুর-২ লঞ্চের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন, বলেন এ কর্মকর্তা।
ইউএনবির কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি ঘটনাস্থল থেকে জানান, ১৫০ জনের অধিক যাত্রী নিয়ে ‘এমভি মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ জন যাত্রী স্থানীয়দের সহায়তায় সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিআইডব্লুউটিএর যুগ্ম পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, বেশিরভাগ যাত্রী উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করছে।