রমজান মাসে দ্রব্যমুল্য ঠিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের শক্ত ভূমিকা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। বুধবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আসন্ন রমজানে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়াতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন যে তেলের দাম আছে এটাই থাকবে আগামী ১৫ দিন। এরপর বৈঠক করে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। এটা করলে রমজানে তেলের দাম স্বাভাবিক থাকবে। নাহলে ব্যবসায়ীরা তেল আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হবে।
তিনি বলেন, ‘ডিসিদের বলেছি সামনে রমজান মাস আসছে, কিছু কিছু জিনিসের দাম আমরা ঠিক করে দেই। সেগুলো কঠোরভাবে তদারকি করতে। রমজান মাস আসছে সে সময় যেন তারা খুব শক্ত ভূমিকায় থাকেন, আইনগত ব্যবস্থা যেন নেন।
কোরবানির সময় চামড়া কেনাবেচায় তদারকির ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যাতে দাম থেকে বঞ্চিত না হন।’
তিনি বলেন, ‘ডিসিদের ওপর আমাদের অনেকখানি নির্ভরতা আছে। জিনিসপত্র যখন মফস্বল থেকে আসে চাঁদাবাজিতে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দাম যাতে না বাড়ে, মধ্যস্বত্বভোগীয় যাতে কমিয়ে আনা যায়, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় এসব ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ সময় ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও কথা বলেন বানিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্য তেল দরকার হয়। দেশে দুই লাখ টন হয়। বাইরে থেকে তেল আনতে হয় বলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বাড়ে তখন দেশেও এর প্রভাব পড়ে। এখন তেলের কন্টেইনারের দাম যেটা দুই থেকে আড়াই টাকা ছিল সেটার দাম ৮ থেকে ১০ হাজার হয়েছে। যার ফলে দামের ওপর প্রভাব পরে। ফলে দেড়-দুই মাস পর পর বসে দাম অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে। এটা না করলে সামনে রমজান মাস তারা তো এলসি ওপেন করবে না, সেটা আরও ভয়াবহ হবে। এ জন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আগামী মাসের ৬/৭ তারিখে বসে আন্তর্জাতিক বাজার এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করব। এ বিষয়ে আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ব্যবসায়ীদের এলসি না খোলার প্রবনতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যদি ব্যবসায়ী দেখে লস হবে, তখন কি সরকার তাকে ফোর্স করতে পারে? এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখতে হবে তারা যাতে বেশি লাভ করতে না পারে। লস দিয়ে তারা তো আমদানি করবে না।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সারের চোরাচালান বন্ধ করতে ডিসিদের মোবাইল কোর্ট বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কৃষি খাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী