বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ সোমবার তার জামিন আবেদন নাকোচ করে তাকে নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করতে বলেছেন।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেহেদী ও অ্যাডভোকেট এ এইচ এম রেহানুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে বশির উল্লাহ জানান, আদালত তাকে জামিন দেয়নি। তাকে নিয়মিত বেঞ্চে যেতে বলেছেন।
এক কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ এবং পরে ভুক্তভোগী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করা হয়। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। পরে ওইবছরের ২৮ জুলাই তুফানের শ্যালিকা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাসায় নিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
ওই মামলায় সেদিনই পুলিশ প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর, নাপিতসহ বেশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত শেষে ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মাথা ন্যাড়া করার মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করে একই বছরের ১০ অক্টোবর পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এরমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মামলাটিতে গতবছর ২৭ ফেব্রুয়ারি তুফানের জামিন আবেদন খারিজ করেন নিয়মিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে নিম্ন আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ায় তুফান সরকার ফের হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন। আজ তা নাকোচ করে দেয়া হয়।