বিকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব জানান, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে এক বিশেষ বৈঠকে বসবেন। ‘ভোটের দিন এবং আগে ও পরে দেশব্যাপী পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য বৈঠকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হবে।’
এছাড়া বৈঠকে নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রগুলোর জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, যাতে সব প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সমান সুযোগ পান- যোগ করেন হেলালুদ্দীন।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন সে জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য দেয়া হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, নারী ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন তার নিশ্চয়তা, নির্বাচনী সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে পাঠানোর পর সেগুলোর নিরাপত্তা এবং নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া নিয়েও বৈঠকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান ইসি সচিব।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ও বাকি চার কমিশনার যোগ দেবেন। সেই সাথে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সব মহানগর পুলিশের কমিশনার, পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত থাকবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সীমান্তবর্তী ও দুর্গম এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে। পাশাপাশি নির্বাচন সামনে রেখে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সে জন্য আলাদা নির্দেশনা দেয়া হবে।