সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৫ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রয়াত বেগম রিজিয়া নাসেরের ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১ এবং মেঝ ছেলে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য। সেঝ ছেলে শেখ সোহেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল ও শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু। দুই মেয়ে শেখ তাহমিনা মিনা, শেখ লুনা গৃহিনী। তার নাতী শেখ সারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য।
রিজিয়া নাসেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীসহ দলের অন্যান্য নেতারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। শেখ আবু নাসেরও সেদিন শহীদ হন। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিকূল পরিবেশ সত্বেও নিজের সন্তানদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় করেছিলেন বেগম রিজিয়া নাসের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিভাবক হিসেবেও সর্বদা সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি।