ইতিমধ্যে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি, হরিরামপুরে রাস্তায় পানি ওঠায় উপজেলার সাথে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র সূ্ত্রে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা- দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর ও সাটুরিয়া বেশি বন্যার কবলে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা। ওই তিনটি উপজেলার মধ্যে দৌলতপুরে ৩৩ হাজার, হরিরামপুরে পাঁচ হাজার এবং শিবালয়ে আট হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায় রাস্তার ডাইভারশনে পানি ওঠায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
হরিরামপুরের বাহাদুরপুর, আন্ধারমানিকসহ কয়েকটি স্থানে পানির সাথে যোগ হয়েছে নদী ভাঙন। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন বলেন, বানভাসী মানুষের জন্য তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খেলা হয়েছে।
এছাড়া, বন্যার্তদের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, বন্যার্তদের জন্য ৬৭ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং এক লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। দুর্গতদের মাঝে প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।