সরকারের আমন্ত্রণে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকার ২৫ দেশ থেকে আগত ৪৭ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সাথে সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা বিশ্বে মিঠা পানির মাছ ও সবজি উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম। শুধু তাই নয়, পঞ্চাশের দশকে ৪৭ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ, যার ভূমি একটুও বাড়েনি, সেই দেশ আজ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত এবং রপ্তানিকারক। কৃষিখাতে এ অভূতপূর্ব ঘটনা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থারও গবেষণার বিষয়।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য গতিশীল নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ৬০০ ডলারের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়ে এখন প্রায় ২ হাজার ডলার এবং মানুষের গড় আয়ু ৬৫ থেকে বেড়ে ৭২.৮ বছরে দাঁড়িয়েছে। মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব সূচকে পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার নীতির কারণে বাংলাদেশে গত ১০ বছরে গণমাধ্যম স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি চারটি টেলিভিশনসহ দেশে অনুমোদিত ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশনের ৩৩টি এখন সম্প্রচারে রয়েছে। ২৮টি অনুমোদিত এফএম বেতারের ২২টি এবং ৩২টি অনুমোদিত কমিউনিটি বেতারের ১৭টির সম্প্রচার চলছে। ২০০৮ সালে বছরে যেখানে ৬০০ দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হতো, তা এখন প্রায় ১২ শ। তখনকার হাতে গোনা অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংখ্যা এখন প্রায় তিন হাজার।
গণমাধ্যমের কল্যাণে বর্তমান সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
এ সময় বিদেশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
তথ্যসচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, সফর সমন্বয়ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুর রহমান এবং তথ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, মিশর, ভুটান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, গ্রিস, বাহরাইন, জাপান, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইথিওপিয়া, তুরস্ক, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, ফ্রান্স, হংকং ও ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৪৭ জন প্রতিনিধি ১৩ থেকে ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করছেন।