হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদনের) শুনানি নিয়ে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপনদাতার নামে বা সৌজন্যে সংবাদ শিরোনাম বা সংবাদের সেগমেন্ট প্রচার করা যাবে না বলে গত বছরের ৬ মে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে চ্যানেল আই, চ্যানেল-২৪, দীপ্ত টিভি ও বিটিআরসি চলতি বছর পৃথক লিভ টু আপিল করে, যা শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে টিভি চ্যানেলগুলোর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বর্তমানে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
পরে খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, লিভ টু আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপনদাতার নামে বা সৌজন্যে সংবাদ শিরোনাম বা সংবাদের সেগমেন্ট প্রচারে আইনগত বাধা নেই।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদের শিরোনামের টাইটেলগুলো স্পনসরের (বিজ্ঞাপনদাতার) নামে প্রচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এম মতিন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রিট আবেদনকারীর মৃত্যুর পর ফারুক মো. হাসিব নামের একজন ব্যবসায়ী মতিনের স্থলে আবেদনকারী হন। ওই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ৬ মে হাইকোর্ট রায় দেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপনদাতার নামে বা সৌজন্যে সংবাদ শিরোনাম বা সংবাদের সেগমেন্ট প্রচার করা যাবে না উল্লেখ করে হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। তবে সংবাদের শুরুতে, মাঝে ও শেষে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে বলে রায়ে বলা হয় বলে তখন জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।