তিনি বলেন, ‘এমন বিজ্ঞাপন বন্ধের সময়সীমা গতকাল (রবিবার) শেষ হয়েছে। তাই, আইন লঙ্ঘনকারী ক্যাবল অপারেটদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ক্যাবল অপারেটরদের সিরিয়ালে প্রথমে বিটিভি এবং পরে বেসরকারি টিভিগুলো তাদের সম্প্রচারে যাওয়ার তারিখের ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হবে।
স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের টিভিতে সিনেমা বা বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ (সোমবার) থেকে এ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে। তা না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের বিষয়ে জাদু মিডিয়া ও নেশন ওয়াইড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে আগেই নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
‘তাদের চাওয়া সময়সীমা শেষের পর তাদের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সেই সময়ও গতকাল শেষ হয়েছে। সে কারণেই আজ থেকে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রথমবার অপরাধে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। আবার অপরাধ করলে জরিমানা করা যাবে ২ লাখ টাকা।
বিদেশি চ্যানেলে আগের চেয়ে দেশীয় বিজ্ঞাপন কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে চ্যানেলে বিদেশি বিজ্ঞাপনও আইনসিদ্ধ নয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডের চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য সব কিছু প্রস্তুত আছে। খুব সহসা ঘোষণা হবে।
টেলিভিশনের কর্মীরা যাতে যথাযথভাবে বেতন-ভাতা পায় সে জন্য সম্প্রচার আইন ভেটিং (পরীক্ষা- নিরীক্ষা) করতে আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। সেখান থেকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে সংসদে পাঠানো হবে পাসের জন্য, বলেন তথ্যমন্ত্রী।