বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান রাজধানীতে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৭টা ১৭ মিনিটে অভিযান শুরু হয়। আট মিনিটের অভিযানে মাহাদী নামে সন্দেহভাজন ওই ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং চটগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাহাদী হাসপাতালে মারা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে আহত অবস্থায় আটক করেছিলাম। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়।’
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, চারজন শিশু এবং নয়জন বিদেশিসহ মোট ১৩৪ জন যাত্রী এবং সাতজন ক্রু সদস্যকে নিয়ে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ৫টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে এবং ৫টা ৪১ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, বিমানটি অবতরণের কিছু সময় আগে একটি অস্ত্র নিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে। ‘সে তার স্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে চায়। আমার কাছে মনে হয়েছে সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে পেশাদার ছিনতাইকারী নয়।’
নাঈম হাসান বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ভেদ করে কীভাবে একজন যাত্রী অস্ত্র নিয়ে বিমানে প্রবেশ করলো তা তদন্তে ক্যাব এবং মন্ত্রণালয় থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের কারণে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্যক্রম কিছু সময় স্থগিত ছিল। রাত ৮টার পর তা আবারও স্বাভাবিক হয়েছে এবং দুবাইগামী ফ্লাইটটি তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
ছিনতাইকারী বিদেশি ছিল নাকি দেশি এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সে বাংলায় কথা বলেছে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মাদ মফিদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ আর্মি, বিমান বাহিনী, র্যাব এবং পুলিশের প্যারা কমান্ডো উইং যৌথভাবে বিমানের ভেতরে অভিযান চালায়। অভিযানে জিম্মি এক ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মিরাজ বলেন, ঢাকা থেকে দুবাইগামী ফ্লাইটের সব যাত্রী এবং পাইলটদের নিরাপদে বিমান থেকে বের করে আনা হয়েছে।
বিমানের ম্যানেজার (জনসংযোগ) তাসনিম আখতার জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির কথা ছিল। একজন যাত্রীকে ছিনতাইকারী বলে সন্দেহ হলে এটি জরুরি অবতরণ করে।
পরে র্যাব, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা বিমানটি ঘিরে রাখে।
এদিকে পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম জানান, বিমানের ভেতরে দুটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।