বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৩০২ রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত।
বায়ু দূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরের তালিকায় ৩০৭ ও ২২৪ স্কোর নিয়ে একিউআই স্কোর নিয়ে রাশিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক প্রথম ও পাকিস্তানের করাচি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সাধারণত একিউআই মান ৩০০ এর ওপরে হলে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মনে করা হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা নাগরিকদের বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ঢাকার বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তা, ইটভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: একিউআই: ঢাকার অবস্থান তৃতীয়
বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে নাগরিকদের হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।