এ ঘটনায় বিসিবি পরিচালকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে এসপি হারুনকে ঢাকার বাসায় নামিয়ে দিয়ে তার গাড়ি নারায়ণগঞ্জ ফেরার পথে মগবাজার ফ্লাইওভার এলাকায় যানজটে পড়ে। সেখানে চালক জুয়েল মিয়া গাড়ির হর্ন দিলে সামনের গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে তার গাড়ির কাঁচে জোরে আঘাত করতে থাকেন। পরে জানালার কাঁচ নামালে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নিজের পরিচয় দেয় ‘আমি পারটেক্স রাসেল’। তারপর পুলিশের গাড়ি বুঝতে পেরে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি এসপি হারুনকে জানানো হলে তার নির্দেশে রাসেলের পিছু নেয় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ওই গাড়ির চালক সুমনকে আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও ছেলে আনাব আজিজ থাকলেও রাসেল নিজে গাড়িতে ছিলেন না।
এসপি হারুন বলেন, গাড়ি তল্লাশি করে পিস্তলের গুলি ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হলেও রাসেলকে ধরা যায়নি, তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয়েছে।
‘তাকে (রাসেল) ধরতে রাতেই গুলশান এলাকায় ও ঢাকার একটি ক্লাবে যাই, তার বাসায় যাই, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে,’ যোগ করেন এসপি।
তার আগে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৮ রাউন্ড গুলি, ১২ শ ইয়াবা, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ২৮ ক্যান বিয়ার ও নগদ ২২ হাজার ৩৮০ টাকা পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এদিকে, শনিবার সকালে এসপির কার্যালয়ে ছুটে আসেন পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এমএ হাশেম, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমএ হাশেমের স্ত্রী সুলতানা হাশেম এবং এমডি আজিজ আল মাহমুদ। পরে গাড়িতে থাকা ফারাহ রাসেল ও তার ছেলে আনাব আজিজকে তাদের হেফাজতে ছেড়ে দেয়া হয়।