রবিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম আইসোলেশন সেন্টারটি ঘুরে দেখেন এবং কোভিড টেস্ট করাতে আসা মানুষের সাথে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি মার্কেট মূলত পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাজারে বাস্তবায়ন করা যায়নি। ৭০০ দোকান বিক্রয়ের পরিকল্পনা নিয়ে গত বছর আমরা সিটি করপোরেশনের বাজেট প্রণয়ন করেছিলাম। কিন্তু এর মাঝে কোভিড এলো। কোভিড আমাদের অনেক বড় শিক্ষা দিয়ে গেছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনো হাসপাতাল নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন যখন দুই ভাগ হয় তিনটি হাসপাতালই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পড়েছে। মার্চের শুরুতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আমরা বলেছিলাম প্রয়োজন হলে এ মার্কেটকে আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করা হবে।’
‘পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি আর্মড ফোর্স ডিভিশনের কাছে হস্তান্তর করা হলে আর্মড ফোর্স ডিভিশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে মিটিং করে কাজ শুরু করেছি,’ বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তারা করোনা পরীক্ষা নিয়ে সমস্যার মধ্যে থাকেন। তাই এ মার্কেটটিকে পরবর্তীতে কোভিড টেস্টের জন্য রূপান্তর করা হয়। যারা বিদেশ যাবেন, তারা যাতে করোনা টেস্টের সনদ নিতে পারেন। এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। আমরা এখান থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্টের ফল দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’
আতিকুল জানান, ৭ দশমিক ১৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ মার্কেটটির আয়তন ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। যেহেতু ডিএনসিসিতে কোনো ধরনের আরবান হাসপাতাল নেই, সেজন্য এটিকে আরবান হাসপাতালে রুপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। মিরপুরের প্যারিস মার্কেটকেও কিভাবে হাসপাতালে রূপান্তর করা যায় তার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জুবায়েদুর রহমান, আর্মড ফোর্স ডিভিশনের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) এ এন এম মঞ্জুরুল হক মজুমদার, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, আঞ্চলিক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।