ভোটের মাঠের সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজশাহীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ইসি রফিকুল দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিচারিক ক্ষমতা কারও নেই। পুলিশের নেই, র্যাবের নেই, সেনাবাহিনীর নেই, কারও নেই। যার হাতে অস্ত্র থাকে তার কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। এটা দেশের সংবিধান বিরোধী।’
তবে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে সেনাবাহিনী যেমন যেকোনো লোককে গ্রেপ্তার করতে পারে, তেমনি সহিংস ঘটনা ঘটলে তারা গুলিও চালাতে পারে এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে পারে। আর জীবন ও জানমাল রক্ষার জন্য এমনিতেই গুলি চালানো ও গ্রেপ্তার করতে পারে। এখনে বিচারিক ক্ষমতা মুখ্য বিষয় নয়।’
আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিএনপির পুনঃতফসিলের দাবি নিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনি বিষয় খতিয়ে দেখে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’
শুধু নারী নয়, সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা কমিশন নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন আয়োজিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।