একইসঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি ‘টাইপ কপি’ ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সকল সিভিল সার্জনকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একটি হত্যা মামলার এক শিশু আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের খুরুশখুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজীর দেয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অস্পষ্ট (পড়ার অযোগ্য) হওয়ায় আদালত এ নির্দেশ দেন।
এদিকে ওই মামলার আসামি একই স্কুলের একই শ্রেণির ছাত্র মো. আরিফকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে আদালত। আদালতে আরিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দাস তপন কুমার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুলের সঙ্গে একই শ্রেণির ছাত্র আরিফের কথা কাটাকাটির জের ধরে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইফুলের ওপর হামলা চালায় আরিফ ও অজ্ঞাত ৫/৬ জন। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি সাইফুল মারা যায়। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থানায় মামলা হয়।
এ মামলায় কারাবন্দি আরিফ কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করে। ওই আদালত গত ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। এই জামিন আবেদনের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যা পড়ার অযোগ্য। আরিফের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানিকালে ওই ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে।