জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, তিন আসামি শার্শার চটকাপোতা গ্রামের কামরুজ্জামান, লক্ষণপুর গ্রামের আব্দুর লতিফ ও আব্দুল কাদেরকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। অজ্ঞাত আসামি যেই হোক না কেন তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার নারীর দাবি অনুযায়ী প্রধান অভিযুক্ত গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সামনে মঙ্গলবার রাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু তিনি খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।’
এ বিষয়ে ওই নারীকে চাপ দেয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাবি করেন, তাকে কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয়নি। ‘তাছাড়া মঙ্গলবার রাতে যখন তাকে অভিযুক্তের সামনে আনা হয় তখন তার চোখেমুখে কোনো আতঙ্ক বা ভয়ভীতি ছিল না।’
অভিযুক্ত না হলেও এসআই খায়রুলকে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে- জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘যেহেতু এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি যে দোষী সে কারণে প্রত্যাহার হয়েছে এমনটি নয়। তাছাড়া তার নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই কর্মস্থলে তিনি কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিনকে প্রধান করে মঙ্গলবার তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সোমবার রাতে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে দুই সন্তানের এক জননীর (৩২) বাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এসআই খায়রুল এবং তার সোর্স কামরুজ্জামান, লতিফ ও কাদের। টাকা দিলে ফেনসিডিলের মামলায় জেলহাজাতে থাকা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে সহজে জামিনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তারা। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তিনি ও কামরুজ্জামান ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।