নতুন অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যেরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এ কারণে সব ধরনের সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের দাম বাড়তে পারে। একই কারণে বাড়তে পারে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচও। রড উৎপাদন ও বিপণনে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করায় বাড়ি করার খরচও বাড়তে পারে।
উৎপাদন পর্যায়ে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করায় এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, গুঁড়া মসলা, টমেটো কে-চাপ, চাটনি, ফলের জুস, টয়লেট টিস্যু, টিউবলাইট ও চশমার ফ্রেমের দাম বাড়তে পারে।
এছাড়া দাম বাড়তে পারে প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী, সিআর কয়েল, জিআই ওয়্যার, তারকাঁটা, স্ক্রু, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসনসহ গৃহস্থালি সামগ্রী, ব্লেড, ট্রান্সফরমার, সানগ্লাস ও রিডিং গ্লাস।
এদিকে স্বর্ণ ও রুপার জুয়েলারি, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, লঞ্চের এসি কেবিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ইনডেনটিং, আসবাবপত্র, পরিবহন ঠিকাদার, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার ওপর ভ্যাট দেয়ার প্রস্তাব করায় এসব ক্ষেত্রেও গ্রাহকদের খরচ বাড়তে পারে
পোশাকের মূল্যের ওপর আড়াই শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে জামা-কাপড়ের দাম বাড়তে পারে। যারা তৈরী পোশাক কেনেন তাদের যেমন অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হতে পারে, তেমনি যারা টেইলারিং শপে যান তাদের জন্যও কোনো সুখবর নেই। কারণ জামা-কাপড় তৈরির ওপর ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
হেলিকপ্টারের সেবা মূল্যের ওপর ভ্যাটের পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। ফলে হেলিকপ্টারে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও খরচ বাড়তে পারে।
এছাড়া যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি, অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলবাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহন রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট নবায়ন, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নিতে এবং নবায়ন করতে বিআরটিএ নির্ধারিত সেবামূল্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়তে পারে।
অপরদিকে সুগার ও রিফাইন সুগারের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়ছে, যা আগে ছিল ২০ শতাংশ। ফলে আমাদানি করা চিনির দামও বাড়তে পারে।