রাষ্ট্রপতি নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। এই সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপও করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
রাষ্টপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, বৈঠককালে নতুন রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। নিজের দায়িত্ব পালনকালে এই সম্পর্ক আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট ও ড্যান মজিনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, গত ১৮ নভেম্বর এখানে এসে পৌঁছানো মিলার বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজ দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরে শপথ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের ক্যারিয়ার সদস্য রাষ্ট্রদূত মিলার ১৯৮৭ সালে পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগ দেন।
তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে আফ্রিকার বতসোয়ানা প্রজাতন্ত্রে ২০১৪-১৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১১-২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে কন্সুল জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত মিলার ওয়াশিংটন, স্যান ফ্রান্সিসকো, মায়ামি ও বোস্টনে কাজ করেছেন এবং এল সালভাদর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক ও ভারতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট গত ১১ অক্টোবর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আর্ল আর মিলারের নিয়োগ নিশ্চিত করে।