কমলাপুরে রেলওয়ে রেস্ট হাউসে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নতুন কমিটির সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে সংগঠনের নেতারা ২৪ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রেলওয়ের বেসরকারিকরণ বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া এবং সব আন্তনগর ও মেইল ট্রেনের ক্যাটারিং পরিষেবার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে দেয়া ইজারা নবায়ন না করা।
রেলের বেসরকারিকরণ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রেলওয়ের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তারা এটি ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ খাতটির উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’
এছাড়া, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএস) মাধ্যমে ভবিষ্যতে টিকিট ব্যবস্থাটি রেলওয়ের কর্মীরা পরিচালনা করবেন বলেও মন্ত্রী জানান।
সুজন বলেন, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে টিকিট পরিচালনা ব্যবস্থায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে।
আগামী মার্চ মাসে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত হতে যাওয়া নতুন বঙ্গবন্ধু রেলপথ সেতুর কাজ উদ্বোধন করা হবে বলেও মন্ত্রী এ সময় জানান।
সুজন বলেন, ‘পদ্মার পাশ দিয়ে মাওয়া অবধি ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মিত হবে। কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত চার লেনের কাজ শুরু হলে পুরোনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজে একটি নতুন সেতু তৈরি করা হবে।’
রেলপথের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দ্রুতগতির রেলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আর কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়া ঢাকায় একটি চক্রাকার রেলসেবা চালু হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেল শ্রমিক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।