ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে বুধবারের মধ্যে এই নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন শহিদুল আলম। এর শুনানিতে মামলার নথি তলবের আদেশ দেয়া হলো।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
পরে সারা হোসেন বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা নথি তলব করেছেন। আজকের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে এই নথি পাঠাতে বলা হয়েছে। রিটের ওপর কাল (বৃহস্পতিবার) শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গত ৩ মার্চ মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এ ব্যাপারে শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন জানিয়েছেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি হয়রানিমূলক। তার মৌলিক অধিকার লংঘন করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আইনগত ত্রুটি রয়েছে।