শনিবার নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে এ বাসসেবার উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে নিউ মার্কেট ও অক্সিজেন থেকে আগ্রাবাদ রোডে বাসগুলো চলাচল করবে। বাসে কোনো সুপারভাইজার কিংবা কোনো টিকিট কাউন্টার থাকবে না। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় সততার কাউন্টারে পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, বাসগুলো নগরীর দুটি রোডে মর্নিং ও ডে শিফটে স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে চলাচল করবে। প্রতি বাসে আসন রয়েছে ৭৫টি। শিক্ষার্থীদের স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় বাসে উঠতে হবে। প্রতি বাসে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। যা ডিসি কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুলবাস চালুসহ ৯ দফা দাবি তুলেন। ওই সময় জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন এবং পরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসির বাস বরাদ্দ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠান।
গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দোতলা বাস বরাদ্দ দেয় বিআরটিসি। তবে পরিচালন ব্যয়সহ নানা জটিলতার কারণে এগুলো রাস্তায় নামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। তারা বাসসেবায় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাসগুলোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে স্কুলের সময়সূচির সাথে মিল রেখে। মর্নিং ও ডে শিফটের জন্য থাকছে আলাদা বাস। এগুলো বহদ্দারহাট থেকে শুরু হয়ে নিউ মার্কেট ভায়া বাদুরতলা, মুরাদপুর, চকবাজার, গণি বেকারি, জামালখান, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি এবং অক্সিজেন মোড় থেকে মুরাদপুর, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, টাইগারপাস ও আগ্রাবাদ এলাকায় চলাচল করবে।
এসব বাস থেকে মাসে ৪ লাখ টাকা আয় হতে পারে। আর ব্যয় হবে প্রায় ৯ লাখ টাকা। ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করতে জিপিএইচ ইস্পাত বছরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে।
বাসসেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলার প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমাস শিমুল।