এসময় নিজেদের মধ্যে আন্তঃদ্বন্দ্বের জেরে সংগঠেনর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক এম মইনুল হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশনের নিবার্চনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ডাকা অবৈধ হরতাল ছাত্রলীগ কখনোই মানবে না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেয়া হবে না। জাবি ছাত্রলীগের আগামী দিনের যেকোনো কর্মসূচি এই ফোরামেই হবে।’
শাখা সভাপতি এই মিছিলের বিষয়ে অবগত কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক গত ৬ মাস যাবৎ ক্যাম্পাসে নেই। সভাপতির সাথে গত একমাস যাবৎ যোগাযোগ বন্ধ, ওনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রলীগ কোনো ব্যক্তির সংগঠন না। সভাপতি-সম্পাদকের নির্দেশনার অভাবে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি।’
বিক্ষোভের বিষয়ে শাখা সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘মিছিলের বিষয়ে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই আমি জানার পরও উপস্থিত ছিলাম না। কেন্দ্র এবং আমি মিছিলের বিষয়ে অবগত আছি।’
একমাস যাবৎ ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এ তথ্য মিথ্যা। কেন্দ্র নির্দেশিত সকল প্রোগ্রামেই আমি ছিলাম।’