প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে সরকার কখনই দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, আমরা কখনই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করিনি, কাউকে তা করার সুযোগ দেইনি। আমরা পথ পরিষ্কার করেছি যাতে সবাই ন্যায়ের পথে চলতে পারে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ শীর্ষক মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং ‘ন্যায়কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে দেশ মাথা উঁচু করে থাকবে। আমরা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ নেতা জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরের দুঃখজনক দিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার চাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেয়ায় আওয়ামী লীগকে মামলা করতে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, তখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের রক্ষকরা কোথায় ছিলেন? আমরা যদি টিকে না থাকতাম বা ক্ষমতায় আসতে না পারতাম, তাহলে এই বিচার কখনই শেষ হতো না...। এটাই বাস্তবতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকত।’
বঙ্গবন্ধুর দুই স্বঘোষিত খুনিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার আমেরিকা খুনি রাশেদকে আশ্রয় দিচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর আমি যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে দণ্ডিত অপরাধীকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমি জানি না, গণতন্ত্রের ব্যাপারে সোচ্চার আমেরিকা কেন একজন খুনিকে আশ্রয় দিচ্ছে!
তিনি আরও বলেন, কানাডা আরেক স্বঘোষিত খুনি মেজর নূরকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের তাদের কাছ থেকে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সবক নিতে হয়,এটাই অবাক লাগে।
জাতির পিতাকে হত্যার বিষয়ে তার আরও একটি দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যারা পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করা। এটি একদিন বের হবে…এতে কোন সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: ছাতকে যুবক গ্রেপ্তার