ইইউ জানায়, বাংলাদেশ ১৬ এপ্রিল একটি নৌকায় থাকা ৪০০ রোহিঙ্গাকে নিরাপদে অবতরণের সুযোগ ও সহায়তা দিয়েছে, যা উদারতা এবং মানবতার এক দৃষ্টান্ত।
‘আমরা আশা করি এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো এ উদাহরণ অনুসরণ করবে,’ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন ইইউর উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল এবং কমিশনার জেনেজ লেনারসি।
নারী ও শিশুসহ কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে মানবেতর অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে রয়েছেন। তাদের তীর থেকে ঠেলে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দুটি নৌকায় থাকা ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ভেতরে বা কাছেও নেই।
সমুদ্র আইন অনুসারে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর দায়িত্ব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে জরুরি ভিত্তিতে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এটি রোহিঙ্গাদের দুর্দশার মূল কারণ সমাধানে সহায়তা করবে।
ইইউ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক ও উন্নয়ন সহযোগী এবং তারা এ অঞ্চলে আরও সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের জন্মস্থানে নিরাপদ, টেকসই, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পক্ষে এবং তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছি।’